বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড
স্টাফবাস কর্মসূচি
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা মহানগরীতে স্বল্প আয়ের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের অফিসে যাতায়াতে বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় ১৯৭৪ সালে সাবেক কর্মচারী কল্যাণ কমিটির ০২/০৫/১৯৭৪ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কল্যাণমূলক কর্মসূচির আওতায় ০১ টি বাস ক্রয় করে স্টাফবাস সার্ভিস কর্মসূচির প্রবর্তন করা হয়।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডেরকাজের গতিশীলতা, নাগরিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের স্টাফবাসে যাতায়াতের টিকেট প্রদানের e-ticketing software প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেবা সহজীকরণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পাবে এবং সেবা গ্রহণকারীগণের তথ্য ভান্ডার সংরক্ষিত হবে।
সেবার মৌলিক তথ্যাবলী :
সেবা প্রদানকারী অফিসের নাম |
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী |
সেবা প্রাপ্তির স্থান |
প্রয়োজনীয় সময় |
|
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, ঢাকা |
১। প্রধান কার্যালয়ের জন্য - মহাপরিচালক, পরিচালক(উন্নয়ন), উপপরিচালক(উন্নয়ন), সহকারী পরিচালক (কর্মসূচি), কল্যাণ অফিসার (কর্মসূচি), পরিবহণ কর্মকর্তা এবং ইউডিএ/এলডিএ ২। বিভাগীয় কার্যালয়ের জন্য - পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, কল্যাণ অফিসার, ইউডিএ/এলডিএ |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা |
৩০ দিন |
|
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
১. প্রধান কার্যালয়ে “ই-টিকেটিং সিস্টেম" জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। কোনপ্রকার হার্ড কপি গ্রহন করা হয় না । অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর SMS এর মাধ্যমে আবেদনের ডায়েরি নম্বর, তারিখ ও আবেদনে কোন ত্রুটি থাকলে তা জানিয়ে দেয়া হয়; ২. আবেদনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুমোদন করা হয় এবং আবেদনকারীকে SMS এর মাধ্যমে অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়; ৩. কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক আবেদন অনুমোদনের পর আবেদনকারী তাঁর ড্যাশবোর্ডে “ভাড়া প্রদান করুন” নামে অপশন পাবেন। এ অপশনটির মাধ্যমে স্টাফবাসে যাতায়াতের চাহিত রুটের দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া অনলাইনে (নগদ অ্যাপে) জমা দিতে পারবেন। ৪. আবেদনকারী ন্যূনতম ১ মাসের ভাড়া বা সর্বোচ্চ ১ বছরের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করতে পারবেন। ভাড়া প্রদান করার পর তাঁর নামে অনুমোদিত ও জেনারেটকৃত (QR Code) টিকেটের সফটকপি দেখতে পারবেন। ৫. অসম্পূর্ণ আবেদন বিবেচনা করা হবে না। ৬.বিভাগীয় কার্যালয়সমূহ একইভাবে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করে; ৭. এ সংক্রান্ত সকল তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) থেকে জানা যাবে। |
|||
সেবা প্রাপ্তির শর্তাবলি
|
|
|||
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
১. রাজস্বখাতভুক্ত/বোর্ড তালিকাভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী ক্ষেত্রে কোন প্রকার কাগজপত্র গ্রহণ করা হয় না। |
|||
প্রয়োজনীয় ফি |
এজন্য কোন ফি প্রয়োজন হয় না |
|||
সংশ্লিষ্ট আইন |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (তহবিলসমূহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী |
|||
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা |
প্রধান কার্যালয়ে – মহাপরিচালক/পরিচালক(উন্নয়ন) বিভাগীয় কার্যালয়ে –পরিচালক/ উপপরিচালক |
|||
সেবা প্রদান/ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ |
ক) নাগরিক পর্যায় |
কল্যাণ বোর্ডের বাসের সংখ্যা কম থাকায় অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী এ সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা |
||
খ) সরকারি পর্যায় |
১. চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা অপ্রতুল ২. বাসগুলো মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত ওয়ার্কসপ সুবিধা নেই ৩. প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব |